How to Apply for BD Passport | নিজে নিজে পাসপোর্ট করবেন যেভাবে | A to Z জেনে নিন
আপনি কি পাসপোর্ট করবেন ভাবছেন? কিভাবে কি করবেন বুজে উঠতে পারছেন না? তাহলে আজকের পোস্টটি আপনার জন্য। বাংলাদেশের নাগরিক হিসাবে সবারই পাসপোর্ট থাকাটা খুবই জরুরী । আর এই পাসপোর্ট পেতে হলে আমরা অনেক সময় হয়রাণীর সম্মুক্ষীণ হতে হয়। নিজেরা সবকিছু ভালোমত না বুজার ফলে অনেকেই বিভিন্নভাবে প্রতারিতও হয়ে থাকি। আজকে আপনাদের একদম প্রথম থেকে পাসপোর্ট আবেদন করা থেকে শুরু করে পাসপোর্ট হাতে পাওয়া পর্যন্ত কিভাবে কি করতে হবে তার বিস্তারিত জানাবো।
নতুন পাসপোর্টের আবেদন করতে যা যা লাগবে:
১। জাতীয় পরিচয়পত্র/জন্মনিবন্ধন (১৮ বছর হলে অবশ্যই NID দিতে হবে, জন্মনিবন্ধন অনলাইনে থাকতে হবে)
২। ২ কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। (১৫ বছরের নিচে হলে বাবা-মায়ের ২কপি করে মোট ৪ কপি ছবি লাগবে)
৩। চেয়ারম্যান কর্তৃক প্রত্যয়নপত্র।
৪। পাসেপোর্টে পেশা Student দিলে SSC সার্টিফিকেট দিতে হবে।
৫। পাসপোর্ট ফি জমার ব্যাংক রশিদ।
বি:দ্র: উপরে উল্লেখিত সবগুলা কাগজের ২টা করে ফটোকপি লাগবে।
টাকা জমা:
প্রথমে আপনাকে নির্ধারিত ফি-টা ব্যাংকে জমা দিতে হবে। সোনালী ব্যাংক, ব্যাংক এশিয়া, ঢাকা ব্যাংক, ট্রাস্ট ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক উল্লেখিত ব্যাংকগুলার যে কোন শাখাতে আপনি টাকা জমা দিতে পারবেন। ব্যাংকে টাকা জমার পর ব্যাংক থেকে একটা রিসিট পাবেন যেটা পরে আবেদনের ফরমের সাথে যুক্ত করতে হবে।
টাকার পরিমাণ:-
MRP (মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট) এর ফি ২ ধরনের হয়ে থাকে।
১। সাধারণ ( ৩৪৫০ টাকা ভ্যাটসহ) – জমা দিলে আপনাকে ২১ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়ার তারিখ দিবে । পাসপোর্টের মেয়াদ-৫বছর
২। জরুরী (৬৯০০টাকা ভ্যাটসহ) – জমা দিলে আপনাকে ৯ কর্মদিবসের মধ্যে পাসপোর্ট পাওয়ার তারিখ দিবে । পাসপোর্টের মেয়াদ-৫বছর
পাসপোর্ট ফরম পূরণ:-
নতুন পাসপোর্ট পাওয়ার জন্য আপনি অনলাইন ও অফলাইন দুই পদ্ধতিতেই আবেদন করতে পারবেন।
কিভাবে পাসপোর্ট ফরম পূরণ করতে হবে তার বিস্তারিত জানতে নিচের ভিডিওটি দেখে নিন
আবেদন ফরম পূরণের পরবর্তী কাজ:
আবেদন শেষ হলে অনলাইনে করে থাকলে আবেদনের কপিটাকে ২ সেট প্রিন্ট করে নিবেন, অফলাইনে হলে হাতের লেখা ফাইলটাকে এক সেট ফটোকপি করে নিবেন। মোটকথা আপনি যে পদ্ধতিতেই ফরম পূরণ করেন না কেন আপনার পূরণকৃত ফরমটাকে ২ কপি বানাতে হবে। এবার আপনি প্রিন্ট করে করেন বা ফটোকপি করেন আপনার ইচ্ছে।
তারপর আপনার হাতে থাকা ২টা ফাইলে একে একে প্রতিটাতে ১টি করে NID/জন্মনিবন্ধন ফটোকপি, ১টি করে চেয়ারম্যান কতৃক প্রত্যয়ন পত্রের ফটোকপি, পেশা student দিয়ে থাকলে SSC সার্টিফিকেটের ১টি করে ফটোকপি সংযুক্ত করতে হবে। এবং প্রতিটা ফাইলের ১ম পেইজের উপরের দিকে ডান কোনায় ছবি লাগানোর জায়গায় আপনার ১টি করে ছবি গাম দিয়ে লাগাতে হবে। সব কাগজ যু্ক্ত করা শেষ হলে ২টা ফাইলকে একত্রে স্টাপল করে দিবেন। ২টা ফাইলের মধ্যে উপরে যে ফাইলটা থাকবে সেটাতে আপনার ব্যাংকে টাকা জমার রশিদটা গাম দিয়ে লাগিয়ে দিবেন।
আরো জানুন:- ই-পাসপোর্টের জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন যেভাবে
সত্যায়িত কিভাবে করবেন? পাসপোর্ট করতে গেলে সবচেয়ে জামেলা যেটা মনে হয় সেটা হচ্ছে সত্যায়িত। মূলত এটা কোন কঠিন বিষয় না আপনি উপরের সব কাজ শেষে সত্যায়িত করাতে হবে।
যা যা সত্যায়িত করতে হবে: আপনার হাতে থাকা ২টা ফাইলের পিছন দিকে, যেখানে ছবি লাগাইছেন ছবিসহ সত্যায়িত, ফাইলের সাথে যা যা ডকুমেন্টস সংযুক্ত করছেন সবগুলা কাগজে আলাদা আলাদা সত্যায়িত করতে হবে।
যারা সত্যায়িত করাতে পারবেন: আপনার এলাকার চেয়ারম্যান/পৌর মেয়র/সিটি মেয়র, এমবিবিএস ডাক্তার, ১ম শ্রেণীর যে কোন কর্মকর্তা। ব্যাস আপনার কাজ শেষ উপরের সবগুলা কাজ সম্পন্ন করার পর আপনারি এলাকার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে আপনার ফাইলটা জমা দিবেন তারা জিমা নিয়ে আপনার ছবি, ফিঙ্গার ও সাইন নিয়ে আপনাকে একটা রিসিট দিবে যেটাতে আপনার পাসপোর্টের সকল তথ্য থাকবে অবশ্যই এটা ভালোমত চেক করে তারপর আসবেন। কোন ভুল হলে দায়িত্বরত কর্মকর্তাকে বললে তা ঠিক করে দিবে। রিসিট হাতে পেলেই আপনার কাজ শেষ। এবার আপনি অপেক্ষা করবেন । যখন আপনার পাসপোর্ট রেডি হয়ে যাবে তখন আপনার কাছে SMS আসবে তখন রিসিটটা দেখাইয়া পাসপোর্ট নিয়ে আসবেন।
পুলিশ ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেটের জন্য অনলাইনে আবেদন করবেন যেভাবে
বি:দ্র: ভেরিফিকেশনের জন্য পুলিশ কল দিতে পারে ।
আপনি চাইলে আপনার পাসপোর্ট কোন অবস্থায় আছে তা অনলাইনে ও SMS এর মাধ্যমে চেক করতে পারবেন। কিভাবে চেক করতে হবে তা জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন।