দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে (Prime Ministers Education Assistance Trust Stipend) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানুগ্রহ অভিপ্রায় অনুযায়ী ২০১২ সালে “প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট” গঠন করা হয় । প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২ এর বিধান অনুযায়ী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ০৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট “উপদেষ্টা পরিষদ”-এর সভাপতি । বিদ্যমান আইনের আওতায় গঠিত ২৬ (ছাব্বিশ) সদস্যবিশিষ্ট ‘ট্রাস্টি বোর্ড’-এ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী সভাপতি । |
ট্রাস্ট ফান্ড থেকে স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসা/বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, আর্থিক সহায়তা, অনুদান ও উচ্চ শিক্ষায় ফেলোশিপ প্রদান করা হচ্ছে । এতে করে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা ডিগ্রী পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে । শিক্ষার্থীদের হাতে স্বল্প সময়ে, ঝামেলাহীনভাবে উপবৃত্তির অর্থ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ই-স্টাইপেন্ড সিস্টেম বাস্তবায়ন করছে । এই পদ্ধতির ফলে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সুবিধাজনক সময়ে, স্থানে এবং পছন্দমতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাবে উপবৃত্তির অর্থ প্রদান নিশ্চিত করা হবে । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি, ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষার প্রসার, বাল্যবিবাহ রোধ, নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ দারিদ্র্য বিমোচনে ট্রাস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।
প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে উপবৃত্তি দেওয়ার বিস্তারিত তথ্য
★যারা যারা আবদেন করতে পারবে- ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ (৩য় বর্ষ, ২য় বর্ষ এবং ১ম বর্ষ) শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়রত ২০২০ সালে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। তাই উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আওয়াতাভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে।
- ★আবেদন করতে যা যা লাগবে- উপবৃত্তির ফরম পূরণ করতে যা যা লাগবেঃ
- ১. এক কপি ছবি
- ২. NID কার্ড অথবা জন্ম নিবন্ধন
- ৩. পিতা মাতার NID কার্ড
- ৪. মোবাইল নাম্বার
- ৬. ssc, hsc and Degree এর রোল রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার।
- ৭. আরো অনেক ব্যাক্তিগত তথ্য।
- অবশ্যই আপনারা সতর্কতার সাথে ফরম পুরণ করবেন। উপবৃত্তির আবেদন করার জন্য কেউ এতো উঠে পড়ে লাগবেন না। আবেদন করার জন্য যথেষ্ট সময় রয়েছে। পুরা ১ মাস আবেদন চলবে।
আরো জানুন:- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সেবা ঘরে বসে অনলাইনে নিবেন যেভাবে
★ উপবৃত্তির জন্য কখন আবেদন করবো? আপনার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ নোটিশ দেওয়ার পর কলেজে যোগাযোগ করে কলেজের নির্দেশনা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করবেন। ২০২০ সালের উপবৃত্তির আবেদনের সময়সীমা – 16/08/2020 থেকে 15/09/2020 পর্যন্ত
★আবেদন করার সময়সীমা:- শিক্ষার্থী কর্তৃক অনলাইনে আবেদনের সময় ঃ আগামী ১৬/০৮/২০২০ থেকে ১৫/০৯/২০২০ তারিখ পর্যন্ত। শিক্ষক কর্তৃক তালিকা প্রেরণের শেষ সময় ঃ ৩০/০৯/২০২০
★ উপবৃত্তির জন্য আবেদন করবো কিভাবে? কিভাবে আবেদন করতে হবে তা জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন।
★ উপবৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।
উপবৃত্তি প্রাপ্তির শর্তাবলি:
- প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, নদীভাঙ্গন কবলিত পরিবারের সন্তান এবং দুস্থ পরিবারের সন্তানগণ উপবৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।
- তৃতীয় লিঙ্গধারী সকল শিক্ষার্থী উপবৃত্তি প্রাপ্য হবে এবং এদের তালিকা পৃথক ভাবে প্রেরণ করতে হবে।
- উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বার্ষিক আয় মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার কম হতে হবে।
- অভিভাবক/পিতামাতার মোট জমির পরিমাণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী ০.০৫ শতাংশ, পৌরসভা এলাকায় ০.২০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ০.৭৫ শতাংশের কম থাকতে হবে।
- সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভার মেয়র/ কাউন্সিলর/ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা/ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রদত্ত আয় ও জমির পরিমাণ সম্পর্কিত সনদপত্র যুক্ত করতে হবে।
- উপবৃত্তিপ্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থীকে স্নাতক (পাস)/সমমান (ফাজিল) পর্যায়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে। ২য় বর্ষ এবং ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে স্নাতক (পাস)/ সমমান (ফাজিল) পর্যায়ের অভ্যন্তরীণ বা নির্বাচনী পরীক্ষায় নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসাবে উত্তীর্ণ হতে হবে।
- স্নাতক (পাস)/সমমান (ফাজিল) পর্যায়ের প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার পর বিরতিহীনভাবে ২য় বর্ষ ও ৩য় বর্ষে অধ্যয়ন করতে হবে এবং স্নাতক(পাস)/সমমান পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশ্রগ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ্য যে, ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষের যেকোনো বর্ষে পুনঃভর্তি হলে উক্ত শিক্ষার্থী অনিয়মিত হিসাবে বিবেচিত হবে এবং উপবৃত্তিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে না।
- নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে শ্রেণিকক্ষে (ক্লাস) কমপক্ষে ৭৫% উপস্থিতি থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে (বাংলা/ইংরেজি) কাউন্ট করা যেতে পারে।
- ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তিকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়/ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি এবং পাঠদানের অনুমতি থাকতে হবে।
ইউটিউবে আমাদের সাথে সংযুক্ত হতে আমাদের চ্যানেলটি এখনি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।