২০২০ সালের স্নাতক (পাস) ও সমমান শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করা হবে । Prime Ministers Education Assistance Trust Stipend

1
1645
দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে (Prime Ministers Education Assistance Trust Stipend) মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সানুগ্রহ অভিপ্রায় অনুযায়ী ২০১২ সালে “প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট” গঠন করা হয় । প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট আইন, ২০১২ এর বিধান অনুযায়ী গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ০৫ (পাঁচ) সদস্য বিশিষ্ট “উপদেষ্টা পরিষদ”-এর সভাপতি । বিদ্যমান আইনের আওতায় গঠিত ২৬ (ছাব্বিশ) সদস্যবিশিষ্ট ‘ট্রাস্টি বোর্ড’-এ শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাননীয় মন্ত্রী সভাপতি ।

ট্রাস্ট ফান্ড থেকে স্কুল/কলেজ/মাদ্রাসা/বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি, আর্থিক সহায়তা, অনুদান ও উচ্চ শিক্ষায় ফেলোশিপ প্রদান করা হচ্ছে । এতে করে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীরা ডিগ্রী পর্যন্ত বিনা বেতনে শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ পাচ্ছে । শিক্ষার্থীদের হাতে স্বল্প সময়ে, ঝামেলাহীনভাবে উপবৃত্তির অর্থ পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ই-স্টাইপেন্ড সিস্টেম বাস্তবায়ন করছে । এই পদ্ধতির ফলে নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সুবিধাজনক সময়ে, স্থানে এবং পছন্দমতো আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে স্ব-স্ব ব্যাংক হিসাবে উপবৃত্তির অর্থ প্রদান নিশ্চিত করা হবে । শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা বৃদ্ধি, ঝরে পড়া রোধ, শিক্ষার প্রসার, বাল্যবিবাহ রোধ, নারীর ক্ষমতায়ন ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নসহ দারিদ্র্য বিমোচনে ট্রাস্ট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে।

প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট থেকে উপবৃত্তি দেওয়ার বিস্তারিত তথ্য

যারা যারা আবদেন করতে পারবে- ২০১৬-১৭, ২০১৭-১৮ এবং ২০১৮-১৯ (৩য় বর্ষ, ২য় বর্ষ এবং ১ম বর্ষ) শিক্ষাবর্ষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইসলামি আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনস্থ সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়রত ২০২০ সালে স্নাতক (পাস) ও সমমান পর্যায়ে দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদান করা হবে। তাই উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের আওয়াতাভুক্ত সকল প্রতিষ্ঠানের ছাত্র-ছাত্রীরা আবেদন করতে পারবে।

  • আবেদন করতে যা যা লাগবে- উপবৃত্তির ফরম পূরণ করতে যা যা লাগবেঃ
  • ১. এক কপি ছবি
  • ২. NID কার্ড অথবা জন্ম নিবন্ধন
  • ৩. পিতা মাতার NID কার্ড
  • ৪. মোবাইল নাম্বার
  • ৬. ssc, hsc and Degree এর রোল রেজিষ্ট্রেশন নাম্বার।
  • ৭. আরো অনেক ব্যাক্তিগত তথ্য।
  • অবশ্যই আপনারা সতর্কতার সাথে ফরম পুরণ করবেন। উপবৃত্তির আবেদন করার জন্য কেউ এতো উঠে পড়ে লাগবেন না। আবেদন করার জন্য যথেষ্ট সময় রয়েছে। পুরা ১ মাস আবেদন চলবে।

আরো জানুন:- জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল সেবা ঘরে বসে অনলাইনে নিবেন যেভাবে

উপবৃত্তির জন্য কখন আবেদন করবো? আপনার বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজ নোটিশ দেওয়ার পর কলেজে যোগাযোগ করে কলেজের নির্দেশনা অনুযায়ী অনলাইনে আবেদন করবেন। ২০২০ সালের উপবৃত্তির আবেদনের সময়সীমা – 16/08/2020 থেকে 15/09/2020 পর্যন্ত

আবেদন করার সময়সীমা:- শিক্ষার্থী কর্তৃক অনলাইনে আবেদনের সময় ঃ আগামী ১৬/০৮/২০২০ থেকে ১৫/০৯/২০২০ তারিখ পর্যন্ত। শিক্ষক কর্তৃক তালিকা প্রেরণের শেষ সময় ঃ ৩০/০৯/২০২০

উপবৃত্তির জন্য আবেদন করবো কিভাবে? কিভাবে আবেদন করতে হবে তা জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন।

সরাসরি আবেদন করে দেখানো হয়েছে

উপবৃত্তির জন্য অনলাইনে আবেদন করতে এখানে ক্লিক করুন।

উপবৃত্তি প্রাপ্তির শর্তাবলি: 

  • প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থী, এতিম, অস্বচ্ছল মুক্তিযোদ্ধাদের সন্তান, নদীভাঙ্গন কবলিত পরিবারের সন্তান এবং দুস্থ পরিবারের সন্তানগণ উপবৃত্তি প্রাপ্তির ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার পাবে।
  • তৃতীয় লিঙ্গধারী সকল শিক্ষার্থী উপবৃত্তি প্রাপ্য হবে এবং এদের তালিকা পৃথক ভাবে প্রেরণ করতে হবে।
  • উপবৃত্তি প্রাপ্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীর অভিভাবকের বার্ষিক আয় মোট ১,০০,০০০/- (এক লক্ষ) টাকার কম হতে হবে।
  • অভিভাবক/পিতামাতার মোট জমির পরিমাণ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বসবাসকারী ০.০৫ শতাংশ, পৌরসভা এলাকায় ০.২০ শতাংশ এবং অন্যান্য এলাকায় ০.৭৫ শতাংশের কম থাকতে হবে।
  • সংশ্লিষ্ট এলাকার সিটি কর্পোরেশন/ পৌরসভার মেয়র/ কাউন্সিলর/ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান/ প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা/ সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান প্রদত্ত আয় ও জমির পরিমাণ সম্পর্কিত সনদপত্র যুক্ত করতে হবে।

prime ministers education assistance trust stipend

  • উপবৃত্তিপ্রাপ্তির জন্য শিক্ষার্থীকে স্নাতক (পাস)/সমমান (ফাজিল) পর্যায়ের নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে। ২য় বর্ষ এবং ৩য় বর্ষের শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে স্নাতক (পাস)/ সমমান (ফাজিল) পর্যায়ের অভ্যন্তরীণ বা নির্বাচনী পরীক্ষায় নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসাবে উত্তীর্ণ হতে হবে।
  • স্নাতক (পাস)/সমমান (ফাজিল) পর্যায়ের প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার পর বিরতিহীনভাবে ২য় বর্ষ ও ৩য় বর্ষে অধ্যয়ন করতে হবে এবং স্নাতক(পাস)/সমমান পর্যায়ের পরীক্ষায় অংশ্রগ্রহণ করতে হবে। উল্লেখ্য যে, ১ম, ২য়, ৩য় বর্ষের যেকোনো বর্ষে পুনঃভর্তি হলে উক্ত শিক্ষার্থী অনিয়মিত হিসাবে বিবেচিত হবে এবং উপবৃত্তিপ্রাপ্তির ক্ষেত্রে বিবেচিত হবে না।
  • নিয়মিত শিক্ষার্থী হিসেবে শ্রেণিকক্ষে (ক্লাস) কমপক্ষে ৭৫% উপস্থিতি থাকতে হবে। এক্ষেত্রে আবশ্যিক বিষয় হিসেবে (বাংলা/ইংরেজি) কাউন্ট করা যেতে পারে।
  • ছাত্র-ছাত্রীর ভর্তিকৃত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের হালনাগাদ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়/ ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বীকৃতি এবং পাঠদানের অনুমতি থাকতে হবে।

ইউটিউবে আমাদের সাথে সংযুক্ত হতে আমাদের চ্যানেলটি এখনি সাবস্ক্রাইব করে রাখুন।

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here